Bangla Nexa

আউসবিল্ডুং কি। জার্মানিতে আউসবিল্ডুং করার উপায়। Easy way For Ausbildung In Germany.

আসসালামু আলাইকুম। আজকে আমরা আলোচনা করব আউসবিল্ডুং কি। জার্মানিতে আউসবিল্ডুং। এই নিয়ে বিস্তারিত যত তথ্য আছে আমরা জানার চেষ্টা করব। যারা জার্মানিতে ক্যারিয়ার গড়তে চান আউসবিল্ডুং তাদের জন্য হতে পারে সেরা একটি চয়েস। তাই আপনি যদি এই নিয়ে জানতে চান অনুরোধ রইল শেষ পযন্ত মনযোগ দিয়ে পড়ার।

আউসবিল্ডুং

আউসবিল্ডুং কি?

আউসবিল্ডুং হল জার্মানির একটি অনন্য পেশাগত প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা, যেখানে তাত্ত্বিক জ্ঞানের সাথে ব্যবহারিক কাজের অভিজ্ঞতা একত্রিত করা হয়। আপনি যদি আউসবিল্ডুং করেন শেখানে আপনি যেমন যেকোন একটি পেশায় লেখাপড়া করতে পারবেন। আপনি সেখানে এটা করার জন্য মাসিক একটা বেতন ও পাবেন। আউসবিল্ডুংয়ের মেয়াদ সাধারণত তিন থেকে চার বছর হয়।

কেন আউসবিল্ডুং এত জনপ্রিয়?

  • ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা: আউসবিল্ডুংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের ক্ষেত্রে প্রকৃত জীবনের কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করে। এখানে আপনি যেমন কাজ করে বেতন পাবেন এর পাশাপাশি কাজ শিখতে পারবেন। যার ফলে শিখার পরবর্তী তে আপনি ভালো কোন কম্পানিতে এই কাজ করতে পারেন এরকম সম্ভাবনা বেশি হবে।
  • বেতন: আউসবিল্ডুংয়ের সময় শিক্ষানবিশরা একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ বেতন পায়। আপনি এই বেতন দিয়ে জর্মানিতে নিজের খরচ চালাতে পারবেন।
  • চাকরির নিশ্চয়তা: সাধারণত আউসবিল্ডুং শেষ হওয়ার পরে যে কোম্পানিতে প্রশিক্ষণ নিয়েছে সেখানেই চাকরি পেয়ে যায়। কিছু ক্ষেত্রে ব্যাতিক্রম হতে পারে তবে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • উচ্চমানের শিক্ষা: জার্মানির শিক্ষাব্যবস্থা বিশ্বমানের, এবং আউসবিল্ডুংও এর ব্যতিক্রম নয়। তাই আপনি চাইলে এইখানে কোর্স করে পৃথিবীর যেকোন দেশে যেতে পারবেন কাজের জন্য।
  • পরবর্তী শিক্ষার সুযোগ: আউসবিল্ডুং শেষ করে অনেকেই উচ্চশিক্ষা অর্জনের সুযোগ পায়। আপনি সেখানে মাস্টার্স বা পিএইডডি বা অন্য কোন প্রোগ্রাম এ লেখাপড়া করতে পারবেন।

আউসবিল্ডুংয়ের সুবিধা সমূহ কি কি।

  • ব্যবহারিক দক্ষতা অর্জন: আউসবিল্ডুংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের বিষয় এ দক্ষতা অর্জন করে, যা তাদের কর্মজীবনে সফল হতে সাহায্য করে। আপনি জর্মানিতে সহজে কোন খরচ ছাড়াই আপনার পছন্দ এর বিষয় লেখাপড়া করতে পারবেন, অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন।
  • কর্মজীবনের সুযোগ: আউসবিল্ডুং শেষ করে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাকরির সুযোগ পায়। অনেক সময় যে কম্পানিতে পড়াশোনা করে সেখানেই কাজ এর সুযোগ পায়।
  • আর্থিক স্বাধীনতা: আউসবিল্ডুংয়ের সময় শিক্ষার্থীরা বেতন পায়। যা দিয়ে সেখানে সে সুন্দর ভাবে সহজে থাকা ও খাওয়ার খরচ চালাতে পারে। এর পাশাপাশি তারা কাজ করার ও সুযোগ পায়।
  • জার্মানিতে বসবাসের সুযোগ: আউসবিল্ডুংয়ের মাধ্যমে জার্মানিতে দীর্ঘদিন থাকার এবং কাজ করার সুযোগ পাওয়া যায়।

আউসবিল্ডুংয়ের জন্য যোগ্যতা

  • শিক্ষাগত যোগ্যতা: সাধারণত উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে।
  • জার্মান ভাষা: জার্মান ভাষায় দক্ষতা থাকা অত্যন্ত জরুরি। B1 লেভেল পযন্ত ভাষা কম্পিলিট করা ছাড়া সাধারনত আবেদন করা যায় না।

আউসবিল্ডুংয়ের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া

  • কোম্পানি খুঁজুন: প্রথমে আপনার পছন্দের ক্ষেত্রে কোন কোম্পানি আউসবিল্ডুং দেয় তা খুঁজে বের করতে হবে। আপনি অনলাইন এই সকল তথ্য দেখতে পারবেন।
  • আবেদন করুন: কোম্পানির ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে পারবেন। অনেক সময় জিমেইল এর মাধ্যেমে আবেদন করতে হয়। আপনি নিচে শেয়ার করা ওয়েবসাইট এ সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।
  • সাক্ষাৎকার: আবেদন গৃহীত হলে আপনাকে সাক্ষাৎকারে যেতে হবে।
  • চুক্তি স্বাক্ষর: সাক্ষাৎকারে সফল হলে আপনাকে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে।

আউসবিল্ডুং কিভাবে আবেদন করব।

আপনি চাইলে নিজে নিজে আবেদন করতে পারবেন। আপনার যোগ্যতার ও কি কি রিকুয়ারমেন্ট আছে সেগুলো চ্যাক করে কাগজপত্র রেডি করে রাখবেন। তারপর ওয়েবসাইট এর মাধ্যেমে আবেদন করতে পারবেন। নিচে আবেদন করার জন্য একটি ওয়েবসাইট এর লিংক দেওয়া হল।

লিংক: https://www.ausbildung.de/

আউসবিল্ডুং
One more website for search ausbildung

আউসবিল্ডুংয়ের সময়কাল কতদিন হয়।

আউসবিল্ডুং শেষে আপনি যে কোম্পানিতে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন সেখানেই চাকরি পেতে পারেন অথবা অন্য কোন কোম্পানিতে চাকরি খুঁজতে পারেন। আপনি চাইলে উচ্চশিক্ষাও অর্জন করতে পারেন। আপনি এখানে মাস্টার্স ও পিএইচডি করতে পারবেন।

আউসবিল্ডুং করতে কি কি কাগজ এর প্রয়োজন।

শুরু থেকে শেষ পযন্ত আপনার যেসকল কাগজপত্র দরকার হবে তার একটা লিষ্ট নিচে দেওয়া হল।

  1. শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র
  2. জীবনবৃত্তান্ত (CV/Resume)
  3. কভার লেটার
  4. ভাষা দক্ষতার প্রমাণপত্র
  5. পাসপোর্টের কপি
  6. প্রস্তাবিত প্রতিষ্ঠান থেকে অফার লেটার
  7. অন্যান্য সনদপত্র
  8. স্বাস্থ্য বীমা
  9. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
  10. ছবি

আউসবিল্ডুংয়ের চ্যালেঞ্জ সমূহ।

আউসবিল্ডুংয়ের কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আপনি যদি ausbildung করতে চান তাহলে আপনাকে এগুলো মেনে নিতে হবে। এই চ্যালেন্জ গুলো কম্পিলিট করে আপনাকে জার্মানি যেতে হবে।

  • জার্মান ভাষা: জার্মান ভাষা না জানলে আউসবিল্ডুং করা যাবে না। যারা বাংলাদেশ থেকে আউসবিল্ডুং করতে চান তাদের অভষ্যই B1 লেভেল পযন্ত জার্মান ভাষা শিখতে হবে। এবং পরিক্ষা দিয়ে পাস করতে হবে। জার্মান ভাষার B1 লেভেল কি এটা যারা জানেন না তাদের উদ্দেশ্য বলি আপনাদের প্রথম এ A1,A2 লেভেল কম্পিলিট করে তারপর B1 করতে হবে। সাধারনত এক বছর এর মতো সময় লাগতে পারে আপনার ভাষা শিক্ষার জন্য। আপনি চাইলে এর থেকে কম সময়ে ও করতে পারবেন যদি বেশি লেখাপড়া করেন।
  • প্রতিযোগিতা: আউসবিল্ডুংয়ের জন্য প্রতিযোগিতা বেশি। সারা পৃথিবীর অনেক দেশ থেকে মানুষ এদেশে আসে কাজ এর জন্য। আউসবিল্ডুং এ যেহেতু একটি বিষয় এর
  • কাজের চাপ: আউসবিল্ডুংয়ের সময় কাজের চাপ বেশি থাকতে পারে।

আউসবিল্ডুং এর জন্য সেরা কিছু পেশা।

  1. Industrial Clerk
  2. Retail Salesperson
  3. Office Management Clerk
  4. Automotive Mechatronics Technician
  5. Salesperson
  6. IT Specialist
  7. Medical Assistant
  8. Electronics Technician for Industrial Engineering
  9. Dental Assistant
  10. Chef/Cook
  11. Plant Mechanic for Sanitary, Heating, and Air Conditioning
  12. Bank Clerk
  13. Warehouse Logistics Specialist
  14. Educator/Childcare Worker
  15. Mechatronics Technician
  16. Electronics Technician for Energy and Building Technology
  17. Geriatric Nurse
  18. Painter and Varnisher
  19. Pastry Chef
  20. Hotel Management Cler

এর বাহিরে ও আরো অনেক কোর্স আছে। আপনার আগ্রহ অনুযায়ী সেসকল কোর্স এ ও আপনি আবেদন করতে পারবেন।

    জার্মান সিলেক্ট করা কোন আপনার জন্য ভালো হবে।

    জার্মান ইউরোপ এর অন্যতম ধনী একটি দেশ। এদেশে জনসংখ্যার অধিকাংশ এ বয়স্ক। দিন দিন এদেশে কর্মক্ষম জনসংখ্যা কমার কারনে জর্মান সরকার ভিসা ও নাগরিকত্ব আইন আরো সহজ করেছে। তাছারা ইউরোপ এর অনেক দেশের এম্বাসি বাংলাদেশ এ না থাকলে ও জার্মান এর এম্বাসি বাংলাদেশ এ আছে। তাই ভিসার জন্য আপনাকে ভারত বা অন্য কোন দেশে যেতে হবে না। জার্মান এর স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করলে অনেক লম্বা সময় লাগে প্রসেস কম্পিলিট হতে। কিন্তু আপনি আউসবিল্ডুং এর জন্য আবেদন করলে খুব কম সময়ে ভিসা প্রসেস করতে পারবেন। তাছাড়াও আপনি নিজে নিজে প্রসেস করতে পারবেন কোন দালাল বা এজেন্সির ধারস্ত হতে হবে না।

    Read More: জার্মানি যাওয়ার সহজ উপায়

    কিওয়ার্ড: আউসবিল্ডুং করতে কত টাকা লাগে, আউসবিল্ডুং কি, আউসবিল্ডুং সাবজেক্ট, জার্মান ভাষা শিখতে কত টাকা লাগে, আউসবিল্ডুং জার্মান ২০২৪, জার্মানিতে থাকা খাওয়ার খরচ, Ausbildung courses list, জার্মানিতে নার্সিং পড়ার যোগ্যতা,

    Leave a Comment

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    Scroll to Top